পাড়ায় পাড়ায় খুঁটিপুজো হয়ে গেছে। ঢাকের বাদ্যি ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে। আর তো হাতে গুনে কয়েকটা দিন বাকি। তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। কোথাও চলছে থিম পুজোর তোড়জোড়, কোথাও আবার সাবেকি পুজোর বাঁশ বাঁধা চলছে প্যান্ডেলের জন্য। চলছে জমিয়ে কেনাকাটা। কেউ আবার পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাও বানিয়ে ফেলেছেন। সহজে বলতে গেলে এখন সবার মনেই খুশির ঢেউ।
আগামী মাসের ২৫ তারিখে মহালয়া। বাংলা মতে ৮ আশ্বিন। আর তারপর থেকে শুরু হয়ে যাবে দেবীপক্ষ, অবসান ঘটবে পিতৃপক্ষের। চালু হবে নবরাত্রি পালনও। ১ অক্টোবর, এবং ১৪ আশ্বিন হল দুর্গাষষ্ঠী। সেদিন বিকেলেই হবে দেবী দুর্গার বোধন, এবং অধিবাস। এদিন রাত ৮টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত থাকছে ষষ্ঠী।
কিন্তু দেবী কীসে আসছেন এবার জানেন?
দেবী দুর্গা এবার মর্ত্যে আসছেন গজে। এর মানে কী জানেন? শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। ২ অক্টোবর, এবং ১৫ আশ্বিন হল মহাসপ্তমী। এদিন হবে নবপত্রিকা স্নান। একই সঙ্গে হবে দুর্গাপুজোর ঘট স্থাপন এবং সপ্তমীবিহিত পুজো। সপ্তমী থাকবে সন্ধ্যা ৬টা ২২মিনিট পর্যন্ত। পরদিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ২৯ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমীর উপবাস পালন করতে হবে। একই সঙ্গে বীরাষ্টমী পালন করতে হবে। এদিন মহাষ্টমী থাকছে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সন্ধি পুজো হবে ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ। মনে করা হয় এই সময় দেবী কালিকা এবং মহিষমর্দিনী দেবীর আবির্ভাব ঘটে মর্ত্যে। এই পুজো শেষ হবে বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটের মধ্যে।
মহানবমী থাকবে এবার ৪ অক্টোবর দুপুর ১টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। এই দিন শেষ হবে নবরাত্রি ব্রত পালন। ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে দশমী পুজো শেষ করতে হবে। দেবী এবার গমন করবেন নৌকায়। এর অর্থ হল প্লাবন। কিন্তু এক এক জায়গায় এক এক রকমের পঞ্জিকা মেনে পুজো হয় তাই সেই ক্ষেত্রে সময়ের হেরফের হতে পারে।