1/5 কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ২০২২ সালে পড়েছে ৯ অক্টোবর, রবিবার। এমন দিনে বৈদিক জ্যোতিষ মত অনুযায়ী রয়েছে কিছু বিরল যোগ। এদিকে, শরৎ পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপুজোয় বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালির ঘরে ঘরে দেবী বন্দনা শুরু হয়। এই পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু বিশেষ রীতি।
2/5 পুজোর অপরিহার্য অঙ্গের মধ্যে রয়েছে ধানের শিষ ও দেবী লক্ষ্মীর পায়ের পাতার আদলে আলপনা। তারসঙ্গে কলা গাছের খোলা দিয়ে তৈরি বাণিজ্য তরী, সঙ্গে বিশেষ ভোগ। এছাড়াও নারকেল নাড়ু, চিড়ে দেবীর প্রসাদের অঙ্গ হয়ে থাকে। দেবী লক্ষ্মীর পুজোয় নিয়ম মেনে পড়া হয় পাঁচালী। এই পাঁচালী পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পাঁচালী পাঠের ভালো দিক জেনে নেওয়ার আগে দেখা যাক, লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে পেঁচাকে কেন বেছে নেওয়া হয়।
3/5 লক্ষ্মীর বাহন কেন পেঁচা- বাংলায় প্রচলিত কাহিনি বলছে, যেহেতু দেবী লক্ষ্মীকে ধান, শস্য, ফসলের প্রতীক বলে মনে করা হয়, তাই অনেকেই ধানের গোলাকেও লক্ষ্মী রূপে পুজো করেন। এদিকে, ধানের গোলায় মাঝে মাঝেই উপদ্রব হয় ইঁদুরের। আর সেই ইঁদুর খেয়ে থাকে পেঁচা। এছাড়াও শস্যে ধরে থাকা নানান কীট পতঙ্গ খেয়ে থাকে পেঁচা। সেই কারণেই পেঁচাকে লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে মনে করা হয়।
4/5 লক্ষ্মীপুজোয় কী কী করলে মেলে শুভ ফল-বলা হয় লক্ষ্মীপুজোর দিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে মেলে শুভ ফল। এতে ভাগ্যের উন্নতি হয়। এছাড়াও এই দিনে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ বেদীতে স্থাপন করলে তা শুভ ফল দেয়। আর্থিক উন্নতি আসে এর হাত ধরে। এছাড়াও লক্ষ্মীপুজোর দিন দেবীর পায়ের কাছে কড়ি রেখে দিলে, তা পুজোর পর ক্যাশবক্সে রাখার নিয়মও বলা হয়। এতে সংসারে অর্থাগমন হয় ও অর্থ উত্তোরোত্তর বাড়ে।
5/5 লক্ষ্মীপুজোয় পাঁচালির গুরুত্ব- বলা হয়, লক্ষ্মীপুজোয় পাঁচালি পাঠ করলে সমস্ত রোগ ব্যধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কেটে যায় অসুস্থতার সমস্যা। এই পাঁচালি পাঠে কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসায় উন্নতি হয়। সমস্ত নেতিবাচক ঘটনা সরে যায় মানুষের কাছ থেকে। বিশ্বাস করা হয় যে, এতে বাড়িতে কোনও অমঙ্গলজনক ঘটনা ঘটে না। (এই আলেখ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতা নির্ভর। তা নিশ্চিত করে না হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)