আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এ বছর রবিবার ৯ এবং ১০ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মী নিজের ভক্তদের ধন-সম্পদ ও মনোস্কামনা পূরণের আশীর্বাদ দেন এবং অলক্ষ্মী বিনাশ করেন।
এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বাড়িতে পুরোহিত ছাড়াই করা সম্ভব। কীভাবে লক্ষ্মীপুজো করবেন জেনে নিন
- প্রথমে যাঁরা পুজো করবেন তাঁরা মাথায় গঙ্গা জল ছিটিয়ে নিন।
- তার পর নারায়ণকে স্মরণ করে পুজো শুরু করুন।
- একটি তামার পাত্রে জল রাখুন। সূর্যকে এই জল অর্পণ করতে হবে। সূর্যকে স্মরণ করে তামার পাত্রে জল ঢালতে ঢালতেই সূর্যকে স্মরণ করুন।
- মাটির একটি গোল ডেলাকে সমান করে তার ওপর ঘট বসান। ঘটের সামনে ধান ছড়িয়ে দিতে হবে।
- ঘটে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন।
- ঘটে গঙ্গা জল ভরে তার ওপর আম্রপল্লব রাখুন।
- আম পাতার ওপর তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে দেবেন। পাতার ওপর হরিতকী, ফুল, দূর্বা রাখুন।
- ঘট স্থাপনের পর ধ্যান মন্ত্রে লক্ষ্মীকে প্রণাম করুন। মন্ত্রটি হল-
ওঁ পাশাক্ষমালিকাম্ভোজ সৃণিভির্যাম্য সৌম্যয়োঃ।
পদ্মাসনাস্থাং ধায়েচ্চ শ্রীয়ং ত্রৈলোক্য মাতরং।।
গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কারভূষি তাম্।
রৌক্নোপদ্মব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু।।
এই মন্ত্র কঠিন মনে হলে, শুধুমাত্র মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করে প্রণাম করুন। ভুল উচ্চারণ না করাই ভালো।
- এবার দেবী লক্ষ্মীকে আহ্বান করুন। হাত জোর করে বলুন, ‘এসো মা আমার গৃহে প্রবেশ করো। আমার গৃহে অধিষ্ঠান করো। আমার এই সামান্য আয়োজন, নৈবেদ্য গ্রহণ করো মা।’
- এর পর লক্ষ্মীর পা ধুয়ে দিতে হবে। লক্ষ্মীর পায়ে ও আলপনা দিয়ে আঁকা পায়ে জলের ছিটে দিন।
- এবার ঘটে আতপ চাল, দূর্বা, ফুল ও চন্দন দিন। তার পর এক এক করে লক্ষ্মীকে সব অর্পণ করুন।
- ফল, মিষ্টি ইত্যাদি নৈবেদ্য দিন। ধূপ ধুনো দেখান।
- অর্পণ করার পর এবার পুষ্পাঞ্জলি দিতে হবে। হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে তিন বার অঞ্জলি দিতে হবে। মন্ত্রটি হল-
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
- তার পর লক্ষ্মীর বাহনকে ফুল দিন এবং নারায়নকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিতে হবে। এবার ইন্দ্র ও কুবেরকে স্মরণ করে ঘটে ফুল দিন। তারপর লক্ষ্মীকে প্রণাম করুন.
- অবশেষে লক্ষ্মী পাঁচালী পড়ে পুজো সম্পন্ন করুন।
কী কী মনে রাখবেন:
লক্ষ্মী পুজোয় কাঁসর, ঘণ্টা বাঁজাবেন না। এতে লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হন। শুধু শাঁখ বাঁজাবেন।
লক্ষ্মীর ঘটে তুলসী পাতা দেবেন না।
লোহার বাসন ব্যবহার করবেন না।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো সাধারণত সন্ধে বেলা করা হয়। তবে অনেকে সকালেও করে থাকেন।