আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথি আবার শরৎ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। মনে করা হয় এ রাতে চন্দ্র ষোলো কলায় পূর্ণ থাকে। শরৎ পূর্ণিমার রাতের চন্দ্র থেকে নির্গত রশ্মিকে অমৃত সম মনে করা হয়। চলতি বছর তিথি ভেদে ১৯ ও ২০ তারিখ পূর্ণিমা তিথি থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে ১৯ তারিখে, আবার কেউ কেউ ২০ তারিখে পূর্ণিমা পালন করবেন।
শরৎ পূর্ণিমার সময়
পূর্ণিমা তিথি শুরু- ১৯ অক্টোবর সন্ধে ৭টা ০৩ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত- ২০ অক্টোবর রাত ৮টা ২৬ মিনিট।
কবে পালন করবেন পূর্ণিমা
ঠিক কোন দিন পূর্ণিমা পালিত হবে, তা নিয়ে সকলের মনে সংশয় রয়েছে। নির্ণয় সিন্ধু অনুযায়ী পূর্ণিমা ও প্রতিপদা একই দিনে হলে, সে দিন পূর্ণিমা পালন করা উচিত। আবার কারও কারও মতে, পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রের পুজো হয়। চন্দ্র দর্শন ও পূর্ণিমা তিথির সঙ্গম ১৯ তারিখ হওয়ায় এদিন পূর্ণিমা মান্য করা হবে। কারণ ২০ অক্টোবর যখন চন্দ্রোদয় হবে, ততক্ষণে পূর্ণিমা তিথি ছেড়ে যাবে। তাই যাঁরা চন্দ্র পুজো করেন তাঁদের ১৯ অক্টোবর পূর্ণিমা পালন করা উচিত। আবার পূর্ণিমার অমৃত বর্ষাও হবে ১৯ তারিখেই। অন্য দিকে উদয়া তিথি মান্য করেন যাঁরা, তাঁরা ২০ অক্টোবর পূর্ণিমা ব্রত করবেন। অতএব ব্রত, উপবাস, দান, স্নানের পূর্ণিমা হবে ২০ তারিখ। এদিন সত্যনারায়ণ পাঠ করা যাবে।
বিশেষ সংযোগ
১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার রেবতী নক্ষত্র ও মীন রাশির সংযোগে শরৎ পূর্ণিমা থাকবে। এ দিন রাসলীলা করেছিলেন কৃষ্ণ, তাই একে রাস পূর্ণিমা বলা হয়।
প্রচলিত ধারণা
শরৎ পূর্ণিমার দিনে সমুদ্র মন্থন থেকে লক্ষ্মীর আবির্ভাব ঘটে। এই তিথিতে রাতে লক্ষ্মী ভ্রমণে বেরোন এবং নিজের ভক্তদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের ধন-দৌলতের আশীর্বাদ দেন। এ-ও মনে করা হয় যে, শরৎ পূর্ণিমার রাতে আকাশ থেকে অমৃত বর্ষণ হয়। তাই এই রাতে খোলা আকাশের নীচে পায়েস রাখার রীতি প্রচলিত আছে। পরের দিন সকালে অমৃতযুক্ত এই পায়েস খেলে ব্যক্তি সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে।
করে।