কুন্ডলীতে চন্দ্রকে মনের কারক বলা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে চন্দ্রমাকে মা বলা হয়ে থাকে। চন্দ্রের ঘর হল চতুর্থ ঘর অর্থাৎ কর্কট রাশি। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যদি কোনওভাবে চন্দ্রের সঙ্গে শনি যুক্ত হয় তাহলে সেখানে বিষ যোগ তৈরি হয়। এই যোগের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। যদি চার নম্বর ঘরে শনি থাকে অথবা শনির নক্ষত্রে চন্দ্রমা থাকেন বা চন্দ্রমার নক্ষত্রে শনি অবস্থান করেন তাহলে এই বিষযোগ তৈরি হয়। এছাড়াও শনির দৃষ্টি যদি চন্দ্রমার উপর পড়ে তাহলে এই যোগ তৈরি হয়। এই যোগের কারণে মায়ের শারীরিক অসুস্থতা,মাতৃশোক থেকে সন্তানের বঞ্চিত হওয়া,পারিবারিক সুখ না পাওয়া,এই জিনিসগুলো ঘটতে থাকে।
অনেক জাতক-জাতিকা ছোট বয়সে মাতৃহারা হয়। অনেকেই গৃহ সুখ পান না,পারিবারিক সুখ থেকে অনেক সন্তান বঞ্চিত হয়। সব কিছুর মূলেই রয়েছে এই বিষযোগ। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি কতটা মারাত্মক হতে পারে। কিন্তু আমরা জানি ভগবান ভোলেনাথ সমস্ত বিষ পান করে নীলকন্ঠে পরিণত হয়েছিলেন। তাই শনি চন্দ্র উভয় গ্রহের উপায় হিসাবে অবশ্যই শনি ও সোমবার রুদ্রাভিষেক করা উচিত, তাহলে বিষযোগ এর প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। এছাড়াও একটি অব্যর্থ উপায় রয়েছে যা এই যোগের প্রভাবকে নির্মূল করে বা এই যোগের প্রভাব জাতকের জীবনে পড়তে দেয় না। চলুন দেখে নেওয়া যাক উপায়টি।
যেসব জাতক-জাতিকার মা বেঁচে রয়েছে তারা মার কাছ থেকে একটি রুপোর কয়েন বা রুপোর কোনও জিনিস বা রূপোর টুকরো নিয়ে লাল কাপড়ে মুড়ে রেখে দেবেন। এই কয়েনটি সবসময় নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করবেন। কোন শুভ কাজে যাওয়ার আগে এটি সাথে রাখবেন আর অন্য সময় এটিকে পূজার স্থানে রেখে দেবেন। যাদের মা নেই তারা মাতৃস্থানীয় কারো কাছ থেকে একই উপায়ে রুপার কয়েন বা রূপোর কোন জিনিস নিয়ে লাল কাপড়ে মুড়ে রেখে দিতে পারেন নিজের কাছে। সারা জীবন এটি যদি নিজের কাছে রাখতে পারেন তাহলে বিষ যোগের কোনও দুষ্প্রভাব পড়বে না।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক। এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত)