1/5 হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, হোলির ৮ দিন পরে শীতলা অষ্টমীর উপবাস পালন করা হয়। এই দিনটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এটি বাসোদা বা বাসোদা নামেও পরিচিত।
2/5 শীতলা অষ্টমীর দিনে শীতলা দেবীর পুজো করার প্রথা রয়েছে। এছাড়া এই তিথিতে দেবীকে বাসি খাবারও নিবেদন করা হয়। আসুন, জেনে নিই এমনটি করার পেছনে ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক কারণ কী।
3/5 শীতলা অষ্টমীর ধর্মীয় তাৎপর্য: ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে শীতলা মা বাসি খাবার খুব পছন্দ করেন। সেই সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করা হয় যে শীতলা অষ্টমীর দিন মা শীতলার পুজো করলে এবং বাসি খাবার নিবেদন করলে গুটি বসন্ত, হাম ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
4/5 শীতলা অষ্টমীর বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব: শীতলা অষ্টমীর বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও রয়েছে। শীতের বিদায় এবং গ্রীষ্মের আগমনের সময় এই উৎসবটি পালিত হয়। এমন অবস্থায় দুই ঋতুর ক্রান্তিকাল এটা। এই সময়ের মধ্যে, আপনার খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় এর প্রভাব আপনার স্বাস্থ্যের উপর দৃশ্যমান হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই ঋতুতে ঠান্ডা খাবার খেলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। তাই এমন অবস্থায় শীতলা অষ্টমীতে ঠান্ডা খাবার খাওয়া হয়।
5/5 এভাবেই পালিত হয় এই উৎসব: বাসোদা উৎসবে বাড়িতে রান্নার জন্য আগুন ব্যবহার করা হয় না। তাই বাসোদার একদিন আগে মিষ্টি ভাত, রাবড়ি, মালপুয়া, হালুয়া, রুটি ইত্যাদি খাবার তৈরি করা হয়। পরদিন সকালে একই বাসি খাবার দেবী শীতলাকে নিবেদন করা হয়। এরপর এই খাবারটি প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।