Astrology: গণেশ দেবের কৃপা থেকে বিচ্যূত হন না এঁরা! কাদের ওপর আশীর্বাদ থাকে দেবতার জানুন জ্যোতিষ মতে

জ্যোতিষশাস্ত্রে বারোটা রাশি রয়েছে। এই বারোটা রাশির মধ্যে কিছু রাশির উপর দেবতা গণেশের বিশেষ কৃপা থাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রাশি গুলির উপর ভগবান শ্রী গণেশ বেশি প্রসন্ন।

গণেশ দেবতার কৃপা ধন্য রাশি কারা?

হিন্দু ধর্মে সবার প্রথমে যে দেবতাকে পূজা করা হয় তিনি হলেন শ্রী গণেশ। পঞ্চ দেবতার মধ্যেও শ্রী গণেশ কে সর্বপ্রথম পুজো দেওয়া হয়। গণপতির পূজো না করে অন্য কোনও দেবতার পুজো শুরু হয় না। গণপতির কৃপা যে ব্যক্তির উপর পড়ে তার জীবন আনন্দে ভরে যায়, জীবনে সমস্ত সমস্যা থেকে সে মুক্তি লাভ করে, কোনরকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন তাকে হতে হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্রে বারোটা রাশি রয়েছে। এই বারোটা রাশির মধ্যে কিছু রাশির উপর দেবতা গনেশের বিশেষ কৃপা থাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রাশি গুলির উপর ভগবান শ্রী গণেশ বেশি প্রসন্ন।

মেষ রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মেষ রাশির উপর ভগবান শ্রী গণেশের বিশেষ কৃপা আছে। বিশেষ করে থাকে এই রাশির জাতক জাতিকারা বুদ্ধিমান হয় এবং যেকোনো কাজ নিপুণতার সাথে সম্পন্ন করে। গনেশজির কৃপায় মেষ রাশির লোকেরা কাজে সফলতা প্রাপ্ত করে। মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের তাই প্রত্যেকদিন বিধিবিধান এর সঙ্গে পুজো করা উচিত শ্রী গণেশের। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের আত্মবিশ্বাসে কোন কমতি থাকেনা। আপনিও কি মনে করেন এক শালিক দেখলে দিন খারাপ যায়? শুভ-অশুভের আসল সত্যিটা কী?

মিথুন রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মিথুন রাশির উপরে ভগবান শ্রী গনেশ এর বিশেষ কৃপা থাকে। এই লোকেরা বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে খুবই তীক্ষ্ণ হয়। তারা শিক্ষাক্ষেত্রে খুব সফলতা অর্জন করে, তাই তাদের রোজ শ্রী গণেশের পুজো করা উচিত কারণ এই রাশির জাতক-জাতিকারা পড়াশোনায় খুব ভালো হয়। এদের সাথে সম্মুখ সমরে জেতা খুব মুশকিল হয়, তবে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের স্বভাব কিন্তু খুবই কোমল প্রকৃতির হয়।

মকর রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ভগবান গণেশ মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর খুবই সদয় থাকেন, এই রাশির জাতক জাতিকারা খুবই পরিশ্রমী স্বভাবের হয় এবং তারা খুব বিশ্বস্ত হয়। তাই তাদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের বুদ্ধি খুবই তেজ হয়, তারা পড়াশুনার ক্ষেত্রে খুবই খ্যাতি অর্জন করে। মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের অবশ্যই প্রত্যহ ভগবান শ্রী গণেশের ধ্যান করা উচিত।

( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক৷ এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত )