সুন্দরবন থেকে এল সুখবর। পরিবেশপ্রেমী এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের জন্য আশার খবর শোনালো নতুন পরিসংখ্যান। মনে করা হয়েছিল, যে প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে, সেই প্রাণীটির ৩৮৫টি সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেল এখানে। এই প্রাণীটির নাম বাঘরোল।
ইঁরেজিতে যাকে বলে ফিশিং ক্যাট, সেই বাঘরোল গণনা প্রথম শুরু হয়েছিল চিলকার জঙ্গলে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বাঘরোল গণনার কাজ হল। আর সেটি হল সুন্দরবন এলাকায়।
২০২১ সালের ৭ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে ক্যামেরা বসিয়ে চলেছে বাঘ গণনার কাজ। আর এই ক্যামেরাযতেই ধরা পড়েছে অনান্য বিভিন্ন প্রাণীর ছবি। এটিই বনদফতরের কাজ সহজ করে দিয়েছে।
দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্যামেরার মধ্যে জমা হওয়া সমস্ত বাঘরোলের ছবি গণনা করা হবে। তাতেই জানা যায় সংখ্যাটি। ইতিমধ্যেই বাঘরোলকে বিরলতম প্রাণী বলে ধরা হয়েছে। আর তাই এই প্রাণীটির সংখ্যা পরিষ্কার হওয়াটিকে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করছেন।
বাঘরোল নামে ডাকা ছাড়াও স্থানীয়রা একে মেছো বিড়াল নামে ডাকেন। গ্রামে বাঘরোল পিটিয়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে বহু সময়ে। তাই এখন স্থানীয়দের বাঘরোল সম্পর্কে সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে বনদফতর। এই প্রাণী বাঁচাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাও ঠিক করা হচ্ছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জাস্টিনস জোন্স সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই বিরল প্রাণী সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করাটা এখন তাঁদের উদ্দেশ্য। যে সমস্ত এলাকায় জলাশয় আছে এবং জঙ্গল ও ঝোপ আছে, সেখানেই বাঘরোলের আস্তানা। ইদানীং জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় বাঘরোলের জীবন সংশয় শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুন্দরবনের জঙ্গলে জীববৈচিত্র্য এতটাই বেশি যে, সমস্ত প্রাণী গণনা করা সম্ভব হয় না বনদফতরের তরফে। কিন্তু বিরল বলেই বাঘের পাশাপাশি বাঘরোল গণনার সিদ্ধান্ত নেন বনদফতরের কর্মীরা।