স্ত্রীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা হুগলির পান্ডুয়ার। নিহত বধূ অপর্ণা হালদারের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মেয়েকে খুন করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
মৃতের বাপের বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, কোন্নগরের কানাইপুরের মেয়ে অপর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হুগলির বৈঁচির প্রশান্ত হালদারের। শনিবার ফোনে তাঁদের জানানো হয়, অপর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে পৌঁছে মৃতের বাপের বাড়ির লোকেরা দেখেন, দেহের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। এর পরই পান্ডুয়া থানায় প্রশান্ত হালদারের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
মৃতের শ্বশুরবাড়ির এক সদস্য জানিয়েছেন, অপর্ণাদেবীর বাবার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন প্রশান্তবাবু। দোলের দিন বাড়িতে বসে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন প্রশান্ত। তখন অপর্ণার সঙ্গে তাঁর ধার শোধ নিয়ে তুমুল বিবাদ বাঁধে। তার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ।