বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার, এবার বড় ক্ষতি হতে চলেছে

একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার, এবার বড় ক্ষতি হতে চলেছে

১০০ দিনের কাজ

উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সম্পদ সৃষ্টির একাধিক কাজের মধ্যে অন্যতম হল বনসৃজন। আগে বনসৃজনের জন্য প্রত্যেক বছর পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ লাগানোর উৎসব শুরু হয়ে যেত। তাতে শ্রমিকরা যেমন কাজ পেতেন, তেমনই নার্সারিগুলি গাছের চারা সরবরাহ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতো। বনসৃজন হলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। 

একশো দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার মানুষের প্রাপ্যের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন। অথচ রাজ্যের বকেয়া পাওনা দীর্ঘদিন ধরেই আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এবার তার ফলে বড় ক্ষতি হতে চলেছে বাংলায়। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

কেমন ক্ষতি হতে পারে?‌ একশো দিনের কাজের টাকা না মেলার ফলে মাঠে নিকাশির পাশাপাশি বনসৃজন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সময় মতো বনসৃজন না হলে পরিবেশে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নার্সারির কর্মীরা গাছের চারা তৈরি করলেও বনসৃজন না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত নার্সারিগুলি গাছের চারা সরবরাহের বরাত পায়নি। এবার তারাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর নিকাশি ঠিকমতো না হওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে। সবমিলিয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বাংলা।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ টানা দু’বছর হয়ে গেল কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না রাজ্যকে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। একদিকে শ্রমিকরা যেমন সমস্যায় পড়েছেন অন্যদিকে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সম্পদ সৃষ্টির একাধিক কাজের মধ্যে অন্যতম হল বনসৃজন। আগে বনসৃজনের জন্য প্রত্যেক বছর পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ লাগানোর উৎসব শুরু হয়ে যেত। তাতে শ্রমিকরা যেমন কাজ পেতেন, তেমনই নার্সারিগুলি গাছের চারা সরবরাহ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতো। বনসৃজন হলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। টাকা না মেলায় শ্রমিকরাও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আগ্রহ হারাচ্ছেন। নার্সারির মালিকরাও চারা বিক্রি করতে না পেরে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

ঠিক কী বলছেন তৃণমূল বিধায়ক?‌ আগে একশো দিনের প্রকল্পে মাঠের নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার করা হতো। তাতে বর্ষার সময় অতিরিক্ত জল জমি থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। আবার গ্রীষ্মকালে জোয়ারের জল ঢোকে। ফলে চাষিরা উপকৃত হন। যদিও এখন এইসব কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘‌একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আমরা বহু উন্নয়নমূলক কাজ করতাম। তার মধ্যে খাল সংস্কার থেকে বনসৃজন সব রয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ না হওয়ায় শুধু চাষি নয়, পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’‌

বন্ধ করুন