বড়ঞায় তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার দুই, উদ্ধার একাধিক তাজা বোমা, আতঙ্ক এলাকায়

বড়ঞা থানার পুলিশ পাঁপড়দহ গ্রামে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতভর তল্লাশি করে। গ্রাম থেকেই রাতে সফিরুল ও বিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই এলাকা থেকে দু’বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালেও গ্রামে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত আমিরের সঙ্গে কারও কোনও গোলমাল ছিল না।

উদ্ধার হওয়া বোমা

বড়ঞায় বোমাবাজিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তৃণমূল কর্মী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাই। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’‌জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে বড়ঞায় বোমাবাজির ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। নিহত আমির শেখ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাইও। এই ঘটনার পর গ্রামে তল্লাশি চালায় বড়ঞা থানার পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত দু’‌বালতি তাজা বোমা। যার সংখ্যা তিরিশের বেশি। বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সফিরুল বাসার এবং তার ছেলে বিরাজ আলম। ধৃত দু’জনের বাড়ি পাপড়দহ গ্রামে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার মাঝরাতে পাঁপড়দহ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় সফিরুল বাশার ও বিরাজ আলমকে। তারাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাই আমির শেখকে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। আজ তাদের কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে বড়ঞায় বোমাবাজি করা হয়। আমির শেখ মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকা থেকেও প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?‌ গ্রামে বোমা তৈরি এবং মজুত করার ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়ার সাহায্য করত বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামের ওলিগলিতে যে বোমা বাঁধা হচ্ছে সেটা পুলিশের কাছে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। বরং সিভিক ভলান্টিয়ারই বোমা তৈরিতে সাহায্য করত বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। সিভিক পুলিশই গ্রামে বোমা ঢুকিয়েছে। দুষ্কৃতীরা আমিরকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত আমিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বড়ঞা থানার পুলিশ পাঁপড়দহ গ্রামে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে রাতভর তল্লাশি করে। গ্রাম থেকেই রাতে সফিরুল ও বিরাজকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই এলাকা থেকে দু’বালতি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালেও গ্রামে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত আমিরের সঙ্গে কারও কোনও গোলমাল ছিল না। এক গ্রামবাসী বলেন,‘‌সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রামে বোমা ঢুকিয়েছিল। আমির যখন নমাজ পড়ে বেরোচ্ছিল, তখনই মসজিদের সামনে বোমা মারা হয়।’‌