ভাগীরথীর পর দামোদর। বিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে কাঠের সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদে উলটে গেল মারুতি ভ্যান। গাড়িতে ৮ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ছিল ২ জন ছিল শিশু। স্থানীয়দের তৎপরতায় সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় সকলেই কম বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দামোদর নদের উপর পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার শিল্যাঘাটের কাছে।
এদিন সকালে পুর্ব বর্ধমান থেকে একটি মারুতি ভ্যানে করে দুই শিশু সহ মোট আট জন যাত্রী বাঁকুড়ার একটি বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই সময় গলসি থানার শিল্যাঘাটের কাছে অস্থায়ী একটি সংকীর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে দামোদর নদ পারাপারের সময় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মারুতি ভ্যানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী সমেত মারুতি ভ্যানটি দামোদরের জলে পড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। পরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা ও পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার পুলিশ যৌথ ভাবে নদীর জল থেকে আট জন যাত্রীকে উদ্ধার করে।
অরিজিৎ রায় নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সাধারণত কাঠের এই সেতু সংকীর্ণ হওয়ায় এখানে ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু, মারুতি ভ্যানটি জোর গতিতে যাচ্ছিল। সেই সময় ব্রেক করার চেষ্টা করেছিল চালক। তখনই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দামোদর নদের জলে পড়ে যায়। ২থানার পুলিশের ক্রেনের সাহায্যে মারুতি ভ্যানটিকে নদ থেকে উপরে তুলে আনেন। ঘটনায় গাড়িটি সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আঘাত বেশি পাওয়ায় তাদের গলসি হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার আগে কালনা ঘাটে বালিভর্তি একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাগীরথীর নদীতে ডুবে যায়। জলের নিচে আটকে পড়েছিলেন চালক এবং খালাসি। স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় কোনওভাবে দরজা খুলে ট্রাক থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন চালক এবং খালাসি