এবার থানার ব্যারাকের মধ্যে এক যুবককে পুলিশের সার্ভিস রিভলবার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আর তারপরই জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ পুলিশের সার্ভিস রিভলবার হাতে দাঁড়িয়ে ওই যুবক পুলিশ ব্যারাকে কী করছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ছবি ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। খড়দা থানার ব্যারাকের মধ্যে পুলিশের সার্ভিস রিভলবার হাতে নিয়ে যুবকের ভাইরাল ছবি পুলিশ কর্তাদেরও প্রথমে কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল।
ঠিক কী ঘটেছে খড়দায়? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ছবি ভাইরাল হতেই জেলা পুলিশের শীর্ষস্তর থেকে ফোন আসা শুরু হয়। তখনই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। সোদপুর নন্দনকানন এলাকার বাসিন্দা নির্ণয় ভট্টাচার্য ওরফে বিল্টুর ছবি সামনে আসে। এই যুবকই থানার ব্যারাকের মধ্যে পুলিশের ব্যবহৃত সরকারি পিস্তল হাতে নিয়ে নিজের ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া ছবিকে ঘিরে পুলিশ মহলে উঠেছে প্রশ্ন। এই বিল্টু আসলে বিভিন্ন থানার পুলিশের চর হিসেবে কাজ করেন। তিনি কোনও পুলিশকর্মী নন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই যুবক নির্ণয় ভট্টাচার্য ওরফে বিল্টু পুলিশ এবং থানার নাম করে দোকান–বাজার থেকে তোলা তুলেছে। এমনকী অনেক ব্যবসায়ীকে লকআপে পুড়ে দেবে বলেও চমকে টাকা আদায় করেছে সে। এবার বড় অপারেশন সামনে রয়েছে বলেই এমন ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে নির্ণয়। এই কাজে আসার আগে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ। এইসব অভিযোগ ওঠার পরে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দা থানার পুলিশ। তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশের সার্ভিস রিভলবার হাতে এল কীভাবে? এই যুবকের হাতে পুলিশের সার্ভিস রিভলবার চলে আসায় এখন পুলিশ মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বিভাগীয় তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এমনকী এই যুবকের বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর খড়দা ও আশপাশের থানাগুলিতে খবর দেওয়া হয়েছে। চর হিসাবে কাজ করা বিল্টু আগে কখনও এমন করেছে কিনা সেই ইতিহাসও দেখা হচ্ছে। কার সার্ভিস রিভলবার নির্ণয়ের হাতে এসেছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ওই যুবককেও জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।