আদিবাসী এক সমীক্ষককে মারধরের ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা। বৃহস্পতিবার তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এই দাবিতে থানার সামনে জমায়েত করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। থানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কার্যত গেট টপকে বিক্ষোভকারীরা থানায় ঢুকে পড়েন। বৃহস্পতিবার আসানসোলের জামুড়িয়া থানায় এঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর জামুরিয়ার শিবপুরের বাসিন্দা বাদল মুর্মু নামে এক সমীক্ষক জমির মাপ যোপ করতে জামুড়িয়ার দু’নম্বর ওয়ার্ডের পৌনিহাটি ওয়ার্কসপ এলাকায় জমিগুলি খতিয়ে দেখতে যান। সেই সময় একদল স্থানীয়রা সোম মুর্মুকে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হন তিনি। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইদানীং তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এদিন ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে থানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসীরা। পুলিশ গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, তাঁদের আটকাতে পারেনি পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ঠেলায় থানার গেটের দরজা ভেঙে যায়। শেষে তাঁরা থানা চত্বরে ঢুকে পড়েন। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় জামুরিয়া থানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও ঘটনায় থানা চত্বরে উত্তেজনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, শেষমেশ বিক্ষোভকারীদের পাঁচজন সদস্য জামুড়িয়া থানার আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিদাওয়াগুলি তুলে ধরেছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি, মূর্মুর ঘর ছাড়া পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা পুলিশ প্রশাসনকে করতে হবে।