আদালতের নির্দেশের পরেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কাজে যোগদান করলেন না শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডল। শুক্রবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে ওই স্কুলে যোগদান করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্কুলে যোগদান না করলে তা চাকরিজীবনে ছেদ পড়বে। তার পরও এদিন তিনি চাকরিতে যোগদান করেননি।
আদালতের নির্দেশে শিক্ষিকা স্কুলে যোগদান করতে পারেন বলে শুক্রবার সকালে সেখানে হাজির হন সাংবাদিকরা। কিন্তু অপেক্ষাই সার। বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীতা বিশ্বাস বলেন, ‘আদালতের কোনও নির্দেশ পাইনি। গত ২৮ এপ্রিল উনি এই স্কুল থেকে বদলি নিয়ে চলে যান। আজ উনি কাজে যোগ দেননি।’
গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের তলব করল সিবিআই
২০১৬ সালে শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন শান্তাদেবী। ২০১৯ সালে বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। তার পর ১ বছর কাটতে না কাটতে শিলিগুড়ির অমিয়গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বদলির নির্দেশ আসে। কিন্তু সেই নির্দেশ ফিরিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা। তার পর ফের বিশেষ কারণ দেখিয়ে বদলির আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদন গ্রহণ করে তাঁকে ফের শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে বদলি করে শিক্ষা দফতর। সেই বদলির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই স্কুলেরই সহকারী প্রধান শিক্ষক।
মামলাকারীর দাবি, শিক্ষা দফতরের বদলি আইন অনুসারে কোনও শিক্ষকের কোনও স্কুলে যোগদানের পর ৫ বছর পার না হলে তিনি বদলির জন্য আবেদনই করতে পারেন না। তাহলে ৩ বছরের মধ্যে কী করে ৩ বার বদলি পেলেন শান্তাদেবী? বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বদলির পিছনে প্রবল প্রভাবশালী কারও হাত দেখতে পাচ্ছি। তাই এই বদলির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হল।’ সঙ্গে শান্তা মণ্ডলকে শুক্রবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে বীরপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যোগদান করতে নির্দেশ দেন তিনি।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য ত্রিদিব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কাছে আদালতের কোনও নির্দেশ আসেনি। যা জেনেছি খবর দেখে। শান্তাদেবী আজ স্কুলে যোগদান করেননি। এটা আদালতের ব্যাপার। এবার আদালত যা নির্দেশ দেবে তাই করব।’