আলিপুরদুয়ার পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টের ৩০০ মিটারের মধ্যে এক পুলিশ কর্তার দেহ মেলে। রহস্যজনক এই মৃত্যুর পরই ক্লোজ করা হল আলিপুরদুয়ারের এক ট্রাফিক পুলিশ কর্তাকে। তবে কী কারণে তাঁকে ক্লোজ করা হয়েছে, তা নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারের ট্রাফিক পুলিশ ইনস্পেকটর দিবাকর ঘোষকে ক্লোজ করা হয়েছে। তিনি আলিপুরদুয়ার–১ নম্বর ব্লকের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায় ট্রাফিক দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছিল, এই জাতীয় সড়ক দিয়েই কয়লা, গরু, সুপারি সহ নানা জিনিসের পাচার হত। রাজ্যে এমনিতেই সীমান্ত এলাকা দিয়ে গরু ও কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের ঘটনা ফের সামনে এসে পড়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের নির্দেশে ওই পুলিশ কর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। ট্রাফিকের ডেপুটি সুপারেনটেনডেন্ট অফ পুলিশ তেনজিং ভুটিয়াকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে গত ৫ ডিসেম্বর জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের দেহ পাওয়া যায় হাসিমারা ১০ নম্বর বিচ চা বাগান এলাকার লাগোয়া একটি ঝোপ থেকে। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ওই পুলিশ কর্তার বাড়ি কোচবিহারে। কর্মসূত্রে তিনি জয়গাঁয় পুলিশ কোয়ার্টারে থাকতেন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে পাচারকারীদের হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।