বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ হোক বা টিকা কাণ্ডে শুর চড়ানো, প্রথম থেকেই রণংদেহী মূর্তি ধারণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই ভাবমূর্তি নিয়েই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন রামনগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরির। তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দু শুধুমাত্র হল্লা করেন। গঠনমূলক ও উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে একে অপরের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত রামনগরের গিরি পরিবার এবং শান্তিকুঞ্জের অধিকারী পরিবার। শুভেন্দুরা তৃণমূলে থাকাকালীন কিঞ্চিত ছায়ায় ছিলেন অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। তবে শুভেন্দু দল ত্যাগ করতেই গুরুত্ব বাড়ে অখিল গিরিদের। সেই অখিল গিরিকে বারংবার দেখা গিয়েছে অধিকারীদের বিরুদ্ধে র চড়াতে। সেই অখিল গিরি এবার বিধানসভার অন্দরে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভার একাধিক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল শুক্রবার। তবে সেই তালিকা প্রকাশের আগেই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, 'সারাক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিধানসভায়। বিজেপিও সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েত দফতর, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পিএসি কমিটিতে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করা নিয়ে এরপর বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু পিএসি-র চেয়ারম্যান কে হবে তা তো ঠিক করে থাকেন অধ্যক্ষ।'
অখিল গিরি এরপর আরও বলেন, 'একাধিক কমিটির প্রধান পদে নাম ঘোষণা করা হয়েছে বিরোধী দলের বিধায়কদের। তবে কোনও গঠনমূলক বা উন্নয়নমূলক আলোচনায় থআকেন না বিরোধী নেতা। তিনি শুধুমাত্র হল্লা করেন।'
প্রসঙ্গত, শনিবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন অখিল গিরি। সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুর নামে বিষোদগার করেন অখিল গিরি। এদিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, 'কেন্দ্র ও রাজ্য দুই জনেই কর নিয়ে থাকে। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ১ টাকা কর কমানোর ঘোষণা করেছিলেন। সব ছাড় দিলে আমাদের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা চালানো সম্ভব হবে না। রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রের প্রকল্প অনেক কম। তাই কেন্দ্রের উচিত, কর ছাড় দিয়ে পেট্রল ও ডিজেলের পাশাপাশি গ্যাসের দাম কমানো।'