সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে কয়েক বছর ধরে। আর তার জেরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ফালাকাটা - আলিপুরদুয়ার অংশে নরক যন্ত্রণা সয়ে চলেছেন স্থানীরা। তার ওপর বর্ষায় রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে খুব দরকার ছাড়া ওই পথে যাতায়াত করেন না কেউ। কিন্তু সেই সড়কই যে ৬ মাসের একটি শিশুর প্রাণ কেড়ে নেবে তা কল্পনা করতে পারেনি কেউ। যা ঘটল বুধবার রাতে। মায়ের কোলে চর তোর্সা নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু পার করার সময় ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল তার। এর পরই রাস্তার হাল নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণের কাজ চলছে পুরোদমে। কার্যত সেখানে রাস্তা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। পুরোটাই খানাখন্দ, নইলে নতুন ফেলা মাটি। একই সঙ্গে ডুয়ার্সের নদীগুলির ওপর ব্রিজগুলিকেও চওড়া করা হচ্ছে। সেজন্য হিউম পাইপ ফেলে নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী সেতু। তার ওপর দিয়েই চলছে গাড়ি। বুধবার রাতে মটোরসাইকেলে চড়ে রাইচেঙ্গায় মামাবাড়ি থেকে মায়ের কোলে করে সাহেবপোঁতায় বাড়ি ফিরছিল ৬ মাসের শিশুটি। সঙ্গে ছিল দাদা। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাবা উত্তম দাস। চর তোর্সা নদীর ওপর তৈরি অস্থায়ী সেতুতে একটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে মোটরসাইকেলসহ নদীতে পড়ে যান চার জনই। রাত ৮ নাগাদ এই ঘটনায় পথচলতি অন্যান্যরা মিলে উত্তমবাবু তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলেকে উদ্ধার করে। কিন্তু ৬ মাসের শিশুপুত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শিশুটির খোঁজ শুরু করে তারা। সন্তানকে হারিয়ে বিহ্বল দম্পতি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে চরতোর্সা সেতুর কাছে পথ অবরোধ করে গণসংগ্রাম কমিটি।