বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Howrah Zilla Hospital: ডাক্তার ইঞ্জেকশন দিতেই কিশোরীর মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ

Howrah Zilla Hospital: ডাক্তার ইঞ্জেকশন দিতেই কিশোরীর মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ

বিক্ষোভ রোগী পরিবারের। নিজস্ব ছবি

কিশোরীকে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গতকাল সন্ধেবেলা হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আজ সকালে ওই কিশোরীকে এক চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেন। তারপরেই রোগীর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখায়।

এক কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখলেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। মৃত কিশোরীর নাম সানা পারভিন (১৪)।

পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গতকাল সন্ধেবেলা হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আজ সকালে ওই কিশোরীকে এক চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই তার মৃত্যু হয়। এরপরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ, বারবার চিকিৎসকদের বলা সত্ত্বেও ওই কিশোরীর কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ছুটে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কিশোরীর মা গুলশন বেগমের অভিযোগ, এর আগেও তিনি মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন শুধু ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তাকে ফেলে রাখা হবে। এর বেশি কিছু তারা করতে পারবেন না। এরপর গতকাল মেয়েকে ফের তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সময় কিশোরী বেশ সুস্থ স্বাভাবিকই ছিল। চিকিৎসক আসার পর তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর চলে যান। তখনই সে অচেতন হয়ে পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি চিকিৎসককে বিষয়টি জানান। কিন্তু, বেশ কয়েকবার ডাকার পরেও চিকিৎসক সেখানে আসেননি বলে অভিযোগ। তবে শেষমেষ চিকিৎসক আসলেও অনেক দেরি হয়ে যায়। সানাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। 

গুলশন বিবি বলেন, 'মেয়ের মুখ হাত কালো হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা ওকে বাঁচাতে পারেননি। তখন আমি আমার ভাইদের ফোন করতেই দুজন চিকিৎসক সেখান থেকে পালিয়ে যান।’ তাঁর বক্তব্য যদি চিকিৎসায় গাফিলতি না হয়ে থাকে তাহলে কেন চিকিৎসকরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলেন। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভ তুলে দেয়। ঘটনায় চিকিৎসকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন