প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বঙ্গ সফরের দিনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে। ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃণমূলের ৫ জন কর্মী। এর মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের মহেশপুর এলাকায়। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের ছড়িয়েছে। এর প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও তৃণমূল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতাকে মারধর, পালটা বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন, উত্তপ্ত খানাকুল
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা রয়েছে। এই উপলক্ষে মহেশপুরে তৃণমূলের তরফে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা শেষে বৃন্দাবনপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। তখনই তাদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক দাস এবং ভরত দাস। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে চলে তাদের চিকিৎসা। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে মহেশপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় উপস্থিত ছিলেন, তমলুক সংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি আসগর আলি, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ এবং শেখ সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তৃণমূল অভিযোগ করেছে, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সেখানে দুষ্কতীপনা বাড়ছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কিছু মানুষ শ্মশান থেকে ফিরছিলেন। তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের বচসা হয়। এর পরেই তাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মারপিট বাঁধে। তৃণমূল পরিকল্পনভাবে বিজেপির উপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের কটাক্ষ নন্দীগ্রামে মানুষ বিজেপির কাছ থেকে সরে আসছে। তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তৃণমূলের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দেবে। এদিকে, এই ঘটনার পরে এক বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ এর প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে মিছিল করবে তৃণমূল।