ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। এই পথ যদি না শেষ হয়-এর টুকাই বাবুকে আপতত দেখা যাচ্ছে ‘মন দিতে চাই’ সিরিয়ালে। এই সিরিয়ালের সেটেই নাকি মন দেওয়া নেওয়া সেরেছেন ঋত্বিক, বছর খানেক আগে এমন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। পর্দার শ্যালিকা দোয়েল অর্থাৎ অভিনেত্রী শ্রীতমা মিত্রের সঙ্গে ঋত্বিকের প্রেমের জল্পনা ঘিরে কম হইচই হয়নি। তবে সময়ের সঙ্গে থিতু হয়েছে চর্চা। আরও পড়ুন-‘মানুষ মানুষকে ঘেন্না করে’, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে অনির্বাণ-অর্ণ-সোহিনী; আসছে অথৈ
ঋত্বিক-শ্রীতমার দূরত্ব, মন কষাকষি-র জল্পনার মাঝেই ঋত্বিকের নতুন প্রেমের জল্পনা তুঙ্গে! হ্যাঁ, একদিকে যখন চাঁদিফাটা গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ বাড়ল ঋত্বিকের নতুন ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। সমুদ্রের ধারে রোম্যান্সে ডুব দিয়েছেন মন দিতে চাই-এর নায়ক। হাতে হাত, চোখে চোখ সাগর জল পেরিয়ে হেঁটে চলেছেন দুজনে। ঋত্বিকের সঙ্গে যে সুন্দরী রয়েছেন তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ। নাম দিশা দাস। সত্যি কি দিশার সঙ্গে প্রেমের ডোরে বাঁধা পড়লেন ঋত্বিক?
ইনস্টা পোস্টে উপচে পড়ছে প্রশ্ন! উত্তর জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঋত্বিকের সঙ্গে। এই ভিডিয়ো কি কোনও শ্যুটের অংশ নাকি সত্যিই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন দিশা-ঋত্বিক? অভিনেতা স্পষ্ট জানালেন, ‘আমি চাই আমাকে নিয়ে মানুষের কৌতুহলটা জারি থাক, আমি এটা নিয়ে এখন কিছু বলব না, বললে মানুষের কিউরিওসিটিটা চলে যাবে। এটা থাকুক’। দিশা কি তাঁর বন্ধু হয়? এই প্রশ্নের জবাবে ঋত্বিক বলেন, ‘হ্যাঁ, দিশা আমার পূর্ব পরিচিত।’ তাঁর প্রেমজীবন নিয়ে অতিরিক্ত চর্চা ঘিরে একদম চিন্তিত নন পর্দার সোমরাজ। দিয়ে রাখলেন বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ। তাঁর কথায়, ‘আমার কিছু যায় আসে না। তবে হ্যাঁ, আমার লাভ লাইফের সঙ্গে এই ভিডিয়োর কোনও সম্পর্ক নেই, এটা বিধিসম্মত সতর্কীকরণ। আপনারা যা খুশি ভাবতে পারেন।’
মনোমালিন্যের জেরে ১৪ বছরের দূরত্ব, কবে আসছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য'
দিশা কনটেন্ট ক্রিয়েটার, তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা রীতিমতো ঈর্ষনীয়, প্রায় সাত লক্ষ মানুষ ফলো করেন এই সুন্দরীকে। দিশার সঙ্গে প্রেম তিনি করছেন না তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন ঋত্বিক। এই জুটিকে নতুন কোনও মিউজিক ভিডিয়োয় দেখা যাবে না রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তা অবশ্য ফাঁস করলেন না ঋত্বিক।