বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ প্রবেশ করবে কোচবিহারে। অসম থেকে কোচবিহারের বক্সীরহাট দিয়ে বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রা প্রবেশের কথা রয়েছে। সেই উদ্দেশ্যে ব্যানার, ফ্লেক্সে ছেয়ে গিয়েছে বক্সীরহাট। কিন্তু, বাংলায় প্রবেশের আগেই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর নামে FIR, গুয়াহাটিতে পুলিশ-কংগ্রেস সংঘর্ষে কড়া পদক্ষেপ হিমন্তের
গত দুদিন ধরে কোচবিহারে ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কেউ বা কারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যানার, ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চলে গেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে তাই তারা এমন কাজ করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী ফ্লেক্স ছিঁড়েছে। তবে এই ভাবে ন্যায় যাত্রা থামানো যাবে না। তিনি তৃণমূলকে হিংস্র এবং বিজেপির দালাল বলে মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা এভাবে বন্ধ করা যাবে না। অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, এই কাজ বিজেপির। এটা তৃণমূলের কাজ নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার ভারত জোড়ো যাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসমের গুয়াহাটি। সেখানে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় কংগ্রেস সমর্থকদের পথ আটকায় পুলিশ। এরফলে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ অসম থেকে বাংলায় প্রবেশ করবে এই যাত্রা। সেই সময় পতাকা হস্তান্তর হবে। তুফানগঞ্জের চামটা মোড় বসাকপাড়া থেকে ১০ কিলোমিটার বাসে যাত্রা করবেন রাহুল। দুপুরে আবারও গাড়িতে যাত্রা শুরু করবেন। এছাড়াও ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাত্রা করবেন তিনি। এরপর আবার বাসে যাত্রা করবেন। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা টাউন ক্লাবের মাঠে রাত কাটাবেন।