বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক পরিচারিকার সঙ্গে সহবাস। আর তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন পরিচারিকা। তাতেই ঘটল বিপত্তি। পরিচারিকার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্টের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিচারিকার পরিবার। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পলাতক রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
নির্যাতিতা পরিচারিকার অভিযোগ, তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিদিন গভীর রাতে তার ঘরে ঢুকত ওই তৃণমূল নেতা এবং তারপর তার ওপর শারীরিক নিগ্রহ চালাত। একইসঙ্গে সেই ঘটনার কথা কাউকে না জানানোরও হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল নেতা। টানা সহবাসের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই পরিচারিকা। পরিবারের অভিযোগ, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ছিলেন পরিচারিকা। সেই বিষয়টি জানার পর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু, তা অস্বীকার করলে গর্ভাবস্থাতেই পরিচারিকার পেটে লাথি মারে অভিযুক্ত। এরপর থেকেই নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে থানায় অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। তবে তারপর থেকে পলাতক রয়েছে তৃণমূল নেতা। নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, ‘আমি বাচ্চা নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু, সে আমাকে চাপ দিচ্ছিল। বাচ্চা নষ্ট না করলে আমাকে খুন করে ফেলবে বলেছিল।’
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, তার স্বামী একজন ভালো মানুষ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিকাশ চৌধুরী অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতা বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ও আমাদের দলের নেতা নয়।’ অন্যদিকে, এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের কালচার। যখন কেউ অন্যায় করে তখন তৃণমূল তাকে চিনতে পারে না।’