বাঁকুড়ার সরকারি জনসভা থেকে দক্ষিণবঙ্গ সফরে অমিত শাহের আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ার জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘লোক দেখানোর জন্য এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খাবার এনেছিলেন বাইরে থেকে।’
এদিন মমতা বলেন, ‘দলিতের বাড়িতে গিয়ে তাকে কিছু করতে দেয়নি। বাইরে থেকে ব্রাহ্মণ নিয়ে গিয়েছেন। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে। বেচারার মেয়ের মনে হয় থ্যালাসেমিয়া রয়েছে। তার চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিল। আমরা শুধু আপনার বাড়িতে বসে খাবো। আর দেখাবো কেউ তরকারি কাটছে। কিন্তু সেই তরকারি খায়নি। ধনেপাতা কোনও রান্নায় দেওয়া হয়নি। বাঁধাকপিও হয়নি যা কাটছিল। খেয়েছে তো অন্য জিনিস, বাসমতি চাল, পোস্তর বড়া। যা কাগজে দেখেছি।’
আমি এখানে আসার পথে একটা তফশিলি গ্রামে গিয়েছিলাম। সবার সাথে আমার কথা হল। আমি বসলাম ওদের মধ্যে। এটা নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতো ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চাল রান্না করে নিয়ে এসে আর তার বাড়িতে রং করে... এ করে... টাকা দিয়ে স্যানিটাইজ করে বসে লোক দেখানো... আমার শিডিউল ট্রাইব বোনেরা.... শিডিউল কাস্ট বোনেরা ছাড়াচ্ছে ধনে পাতা আর খাচ্ছে পোস্তর বড়া। এসব লোকে এখন ওসব বুঝে গেছে।
আমি গিয়েছিলাম মানে আমি ওদের খাটিয়াতেই বসেছিলাম। ওদের ওখানে যাওয়ার পরিকল্পনা কারও ছিল না। আমি সবার সাথে ডেকে কথা বললাম। জিঞেস করলাম, চাল পান? বলল, হ্যাঁ দিদি পাই। স্কলারশিপ পান? পাই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পান? পাই। বললাম আর কী প্রবলেম আছে? বলল, দিদি আমার বাড়িটা হলে ভাল হয়।
গত ৫ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে বাঁকুড়ায় এক আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরদিন নিউ টাউনে একটি মতুয়া পরিবারে দুপুরের আহার সারেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের কর্মসূচিকে সরাসরি ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেন। সঙ্গে বোঝানোর চেষ্টা করেন, মানুষের সঙ্গে একাত্ম আসলে তিনিই।