আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলার জেরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। মৃত তিনজনের মধ্যে অন্যতম হলেন ঝালি বাউড়ি। মাকে হারিয়ে শোকার্ত ছেলে সুখেন বাউড়ি। সুখেনের বক্তব্য, ‘বিচার চাই।’ সংবাদমাধ্যমকে সুখেন বাউড়ি বলেন, ‘মা টোকেন নিয়ে ওখানে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও দেখি মা বাড়ি ফেরেননি। তখন ওখানে তাঁর খোঁজ করেতে যাই। তখন জানতে পারি মা মারা গিয়েছেন। ওখানে কম্বল নিতে গিয়ে ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়েই পদপিষ্ট হয়ে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
প্রসঙ্গত, বুধবার আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিবচর্চার অনুষ্ঠান। সেখানেই কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর হলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে চাঁদমনি দেবী (৪৫), প্রীতি সিং (১২), ও ঝালি বাউড়ির (৬০)। ঘটনায় আহত হন ৭ জন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, এই অনুষ্ঠানের কী আদৌ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তমের দাবি, অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিশের কাছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আসানসোল হাসপাতালে যান পুলিশ কমিশনার। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতা আসানসোলে আসছেন বলে খবর ছিল। কিন্তু কী অনুষ্ঠানে হবে তা বিস্তারিত ভাবে পুলিশকে জানানো হয়নি।
তবে কমিশনারের এহেন দাবির পরই শুভেন্দু অধিকারী আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারির লেটারহেডে লেখা একটি চিঠি টুইট করেন। সেই চিঠিতে শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য আসানসোল থানার কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল গত ৩ ডিসেম্বর। পাশাপাশি শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়া হয়।