আসানসোল হাসপাতালে আহতদের আত্মীয়রা।
আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিতে পদপিষ্টের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্তকমিটি গড়ল জেলা পুলিশ। কমিটিতে রয়েছেন ডিসি ও এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্ত করে তাদের ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে রেলপাড় এলাকায় শিবচর্চার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। মঞ্চে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি মঞ্চ ছাড়তেই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যার ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১ নাবালিকাসহ ৩ জনের। আহত হয়েছেন ৫ জন।
বিজেপির দাবি, অনুষ্ঠানের পুলিশি অনুমতি ছিল। কিন্তু পুলিশ সুপারের দাবি, তাদের তরফে অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন পুলিশ সুপার সুধীর কুমার নীলকান্তম। এর পর ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেন তিনি। ডিসি ও এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে তৈরি হয়েছে এই কমিটি। তদন্ত কমিটি ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে রিপোর্ট দেবে। তার পর এব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করবে পুলিশ।রিপোর্টে আয়োজকদের গাফিলতি পাওয়া গেলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারে পুলিশ।
আসানসোলের ঘটনার জেরে বিজেপিও দ্বিধাবিভক্ত। বৃহস্পতিবার সকালেই এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দলের সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দান খয়রাতি মানবতার অপমান। গরিবদের সাহায্য করার আরও অনেক উপায় আছে। এই ঘটনাকে সমর্থন করি না। দায় বিরোধী দলনেতারও। শুধু পুলিশের উপর ভরসা রাখা ঠিক নয়। আরও প্রস্তুতি দরকার ছিল। ’ যার ফলে বিজেপির অন্দরে দিলীপ – শুভেন্দুর ফাটল আরও বড় হল বলে মনে করা হচ্ছে।