সত্যি হল রাজ্যপালের আশঙ্কা। রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় সংক্রমণ ছাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হল এক ডাক্তারবাবুর থেকে। রবিবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের এক সহকারী সুপারের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। গত ২১ মে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রিপোর্ট এসেছে রবিবার। তার মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা ওই চিকিৎসক বাড়ি থেকে ঘুরে গিয়েছেন। ফলে পথে ও বাড়িতে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২১ মে ওই সহকারী সুপারের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসতে দেরি হবে বুঝে ২৩ মে হাসপাতালে থাকা TRUENAT পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর পর কলকাতায় নিজের বাড়িতে চলে আসেন ওই চিকিৎসক।
এরই মধ্যে রবিবার ২১ মে পাঠানো নমুনার রিপোর্ট পৌঁছয় হাসপাতালে। তাতে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ। সোমবার কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি ফেরেন ওই ডেপুটি সুপার। এর পরই হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। ডেপুটি সুপারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে সোমবার সুপারের অফিস বন্ধ রাখা হয়।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘দুই বার পরীক্ষার রিপোর্ট দুই রকম এসেছে। সংক্রমণ এড়াতে আমরা সুপারের অফিস বন্ধ রেখেছি। স্যানিজাইজ করে অফিস খোলা হবে। সহকারী সুপারকে আইসোলেশনে রেখে তাঁর লালারসের নমুনা ফের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।’
বলে রাখি, রাজ্যে প্রচুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বকেয়া রয়েছে বলে সোমবারই দাবি করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের ধারণা অন্তত ৪০,০০০ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট বকেয়া। এভাবে পরীক্ষা করে কী লাভ তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। ধনখড়ের আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার উদাহরণ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ঘটনা। সেখানে ২১ মে সংগ্রহ করা নমুনার রিপোর্ট এসেছে ৩১ মে। অর্থাৎ ১১ দিন পর। হাসপাতালের সহকারী সুপারের নমুনা পরীক্ষা হতে যদি ১১ দিন লাগে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।