নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এক ক্রীড়াবিদ। চয়নিকা আঢ্য নামে জাতীয় স্তরের ওই যোগাসন চ্যাম্পিয়নের অভিযোগ, ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পেলেও অয়ন শীলকে টাকা না দিতে পারায় চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
চয়নিকাদেবী জানিয়েছেন ২০১৯ সাল টিটাগড় পুরসভায় কর্মীনিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি আবেদন করেছিলেন। স্পের্টস কোটায় তিনি ইন্টারভিউতে ডাক পান। তালিকায় নাম ছিল ২২০ নম্বরে। ওই বছরই ১১ নভেম্বর তাঁকে পুরসভার তরফে জয়েনিং লেটার দেওয়া হয়। এর পরই চুঁচুড়ার ষণ্ডেশ্বরতলায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান পুরসভার এক কর্মী। তিনি অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে বলেন। জানান, চাকরির ব্যাপারে কথা আছে।
ডাক পেয়ে বাবাকে নিয়ে চুঁচুড়া শহরেরই জগুদাসপাড়ায় অয়নের অফিসে যান চয়নিকা। সেখানে অয়ন তাঁকে বলেন, চাকরিতে যোগদান করতে গেলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। চয়নিকা বলেন, আমি যোগ্য প্রার্থী টাকা দেব কেন? তাছাড়া আমার কাছে অত টাকাও নেই।
চয়নিকা জানিয়েছেন, তখন আমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। বাবা মা বৃদ্ধ। ফলে আমার চাকরিটা দরকার ছিল। কয়েকদিন পর অয়নের বিধাননগরের অফিসে আমাকে দেখা করতে বলা হয়। বাবাকে নিয়ে সেখানেও যাই। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে অয়ন শীলের দেখা পাইনি। এর পর টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাকে কাজে যোগদান করতে বলেন। আমাকে স্থানীয় ব্যাঙ্কে পুরসভার তরফে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টে বেতনও জমা পড়ে। ৬ মাস পর আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমার চাকরি আর নেই।
চয়নিকার দাবি, পুরসভায় নিয়োগে চরম বেনিয়ম হয়েছে। চাকরিতে যোগদান করে ফেলেছেন এমন যোগ্য প্রার্থীদের বার করে দিয়ে টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়োগ হয়েছে।