কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এক নাবালিকাকে ভারতে নিয়ে আসে দুই যুবক। ভারতে এসে গণধর্ষণের শিকার হতে হল ওই নাবালিকাকে। অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের সরিয়তপুরের বাসিন্দা ১৭ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয় শরিফুল মল্লিকের। শরিফুল তাঁকে জানায, ভারতে এলে সে কাজ পেয়ে যাবে। এরপরই শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েটি। এরপর চোরাপথে ওই নাবালিকাকে এদেশে নিয়ে আসে শরিফুল ও তাঁর সঙ্গী আঠাশ বছরের মহসিন বিশ্বাস। বাগদায় নিজের বাড়িতেই ওই নাবালিকাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। তাঁর অভিযোগ, গত ১৪ অক্টোবর শরিফুল ও তার সঙ্গী মহসিন তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর লাগাতার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ২ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। আগামী ২০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই মামলায় সরকারি আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, আদালত অভিযুক্তদের চারদনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার পূণর্নির্মাণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন ও ৩৭৬ডি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা বাংলাদেশ থেকে এদেশে লোকজন এপার–ওপার করানোর ব্যাপারে যুক্ত।