আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠল বাঁকুড়া। এখানে বিজেপির কোন্দল অব্যাহত। এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদের ছবিতে কালি লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা। ছাতনার বারবাকড়া এলাকায় জ্বালানো হয় টায়ার। ‘অপদার্থ সুভাষ সরকার’ স্লোগান তুললেন তাঁরা। বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে দেখা গেল আদি নেতাদেরও। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী সদস্যও সামিল হলেন বিক্ষোভে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে এমন পরিবেশ বারবার তৈরি হওয়ায় অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল ও সাংসদ সুভাষ সরকারকে আগে দলীয় পার্টি অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। তারপর তাঁদের নামে পোস্টার পড়েছিল। একাধিকবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হয়েছিল। এবার সুভাষবাবুর কুশপুতুলও পোড়ান কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে কর্মীরা বিক্ষোভে দেখান। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছবি দিয়ে তাতে লেখা হয়, ‘অপদার্থ সুভাষ সরকার দূর হটো’। বিক্ষোভের মধ্যেই সুভাষবাবুর ছবিতে কালি দেন কর্মীরা।
ঠিক কে, কি বলছেন? অন্যদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই এমন উত্তপ্ত পরিবেশ খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হওয়ায় আসন ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ এটা সরাসরি ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁরা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের দাবি, আটের দশক থেকে তাঁরা বিজেপি করছেন। সাংসদ ও জেলা সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ। এই বিষয়ে বিজেপির ৬ বারের পঞ্চায়েত সদস্য ছাতনার নেতা অশোক বিদ, শ্যামসুন্দর মণ্ডলদের দাবি, ‘সুভাষবাবু এখন একাই সংগঠন চালান। পুরনো কর্মীদের ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। কাজের পরিবর্তে তাঁর কাছের লোকেদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় নানা সংস্থায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: এবার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই,পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিক্ষোভ ক্রমাগত বাড়ছে। ছাতনায় পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি ক্রমাগত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। এই বিষয়ে বিজেপির ৬ বারের পঞ্চায়েত সদস্য ছাতনার নেতা অশোক বিদ বলেন, ‘দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব মিলছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।’ এই বিষয়ে সুভাষ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ছাতনা–সহ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি নিয়ে পার্টিতে আলোচনা চলছে।’