গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিগত দিনে অশান্ত হয়েছিল দার্জিলিং পাহাড়। আর সেই আন্দোলনে দিনের পর দিন ধরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। তখন পাহাড় দেখেছিল তার হার না মানা জেদ, লড়াকু মানসিকতা। তবে এবার জিটিএ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন বিমল গুরুং। কিন্তু ১০৩ ঘণ্টা অনশনের পরে কাহিল হয়ে পড়লেন গুরুং। সূত্রের খবর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে আপাতত দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও অনশন ভাঙেননি তিনি।
এদিকে রবিবার সকালেই অনশন মঞ্চে এসেছিলেন দার্জিলংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত সহ বিজেপির প্রতিনিধিরা। পাহাড়ের একাধিক বিজেপি বিধায়কও ছিলেন। বিমল তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছিলেন। আর তারপরই বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি অনশন ভাঙেননি।
এদিকে অনশনের তৃতীয় দিন থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিমল গুরুং। এনিয়ে মোর্চার নেতা কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ায়। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তবে তখন হাসপাতালে ভর্তি হননি। কিন্তু চতুর্থ দিন বিকালের পর থেকে মোর্চা সুপ্রিমোর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। চিকিৎকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর রক্তচাপ ওঠানাম করছে। সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রস্রাবে রক্ত আসছে। শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তবে এদিন বিকালে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়ে যায়। এরপর আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি মোর্চা। আপাতত দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে।