বঙ্গ বিজেপির ২০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই নানা ডামাডোল শুরু হয়েছে। এই প্রার্থী তালিকায় একাধিক তাবড় পদ্ম নেতাদের দেখা মিলেছে। আবার দেখা মিলেছে অনেক অল্প পরিচিত মুখেদেরও। বোলপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পদ্ম নেত্রী প্রিয়া সাহা। তাঁর নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়েছে। এই আবহে এবার ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন অনুপম হাজরা। একদা বোলপুরের সাংসদ ছিলেন অনুপম। স্রেফ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ‘ডিল’ করে বিজেপি জেতা আসনে দু্র্বল প্রার্থী দিয়েছে বলেই ফেসবুকে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা হতেই অনুপমের এই পোস্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে।
এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিজেপির রামপ্রসাদ দাস। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন অসিত কুমার মাল। শেষ হাসি অসিতই হেসেছিলেন। তবে ২০১৪ সালে এই বোলপুর থেকে জিতেছিলেন অনুপম হাজরা। যদিও তখন তিনি তৃণমূলে ছিলেন। বিজেপির কামিনি মোহন সরকার হেরে যান তখন। আবার ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন অনুপম। আর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর থেকে অনুপম দাঁড়িয়ে মিমি চক্রবর্তীর কাছে হেরেছিলেন। কিন্তু এখন অনুপম বিজেপিতেই আছেন। সম্পর্ক খারাপ হয়েছে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে।
অন্যদিকে আগেও নানা সময়ে লাগাতার বিস্ফোরক পোস্টও করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপম হাজরাকে। যা নিয়ে বিতর্কও দানা বাঁধে রাজ্য–রাজনীতিতে। এবার অনুপম হাজরা ফেসবুকে সাফ লিখলেন, ‘জেতা সিটে দুর্বল প্রার্থী দেওয়ার জন্য শেষ মুহূর্তে কখন যে টিএমসি’র সঙ্গে কোটি টাকার ডিল হয়ে যাবে ধরতেও পারবেন না। আপনি তখন ব্যস্ত, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্টির হয়ে দেওয়াল লিখতে! জয় জগন্নাথ।’ বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা সাঁইথিয়ার বাসিন্দা। বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। তার পর থেকে আর সক্রিয় রাজনীতিতেও ছিলেন না প্রিয়া। কোনও দলীয় পদেও তিনি নেই। তাহলে কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার জনতার অদম্য প্রতিবাদের জয়’, পবন সিং সরে দাঁড়াতেই অভিষেকের কড়া প্রতিক্রিয়া
এছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে অনুপমকে দল টিকিট দেবে এটা অনেকে আশা করেছিলেন। যদিও শেষে টিকিট পেলেন প্রিয়া সাহা। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নীলাবতি সাহার কাছে। প্রিয়া সাহার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৫,৩২৯। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নীলাবতি সাহা পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৭২। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়া সাহা হেরে যান ১৫,২৪৩ ভোটে। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর থেকে এখানে রাজনৈতিক পরিবেশ অনেকটাই বদলেছে। অমিত শাহ নিজে এখানে এসে ৩৫টি আসন জেতার কথা বলেছিলেন। তারপর এমন প্রার্থী হওয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনুপম হাজরা।