এবার আবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের তরজা সপ্তমে উঠল। নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে এলাকার বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে উত্তেজনা দেখা দিল। নন্দীগ্রামের বিধায়ককে লক্ষ্য করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কটূক্তি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কি বলা হয়েছে তা উল্লেখ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ, শুক্রবার সকালে ভাঙাবেড়ার শহিদ মিনারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের অনুষ্ঠানে যান শুভেন্দু অধিকারী। সভায় আসার পথে ভাঙাবেড়া সেতুর কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিজেপি নেতাকে কটূক্তি করেন কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস গতবারও নোংরামো করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল, লাভ হয়নি।’
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় ১১জন গুন্ডার নামের চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আর কয়েকটা আছে তাও ফাঁকা হয়ে যাবে। জোঁকের মুখে কি করে দেশি নুন দিতে হয় তা আমি জানি! আমি ও বিষয়ে ওস্তাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সোনাচূড়াই হারিয়েছে। কারণ লোক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম এবং ভরত মণ্ডলের। সেই থেকে এই দিনটি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির পক্ষ থেকে এই দিনটি পৃথকভাবে পালন করা হয়।