কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য অ্যাকাডেমি’র বিশেষ পুরষ্কার পান। আর তা নিয়ে বেশ কয়েকজন সাহিত্যিক থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ জোর সমালোচনা শুরু করেছেন। এবার এই ইস্যুতে মাঠে নেমে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষও। যাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ তথাগত রায়।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? আজ, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে প্রাতঃভ্রমণ ও চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এই ছোট পুরষ্কার দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন অপমানিত করা হল? ওঁর তো নোবেল পাওয়ার মতো যোগ্যতা, ক্ষমতা, প্রতিভা আছে। বাংলায় এর আগে এমন প্রতিভাবান জন্মায়নি কেউ। পুরষ্কার চালুও করছেন, পুরষ্কার নিজেও পাচ্ছেন। এরা নিজেরাই নেয়, সব পুরষ্কার নিয়ে নিচ্ছে। নিজেদের লোকেদের খুশি করবার জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ধরনের পুরষ্কার চালু করেছেন। বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে অপমান করা হচ্ছে আগে কেউ করেনি। যার দলের নেতারা বলেন যে নোবেল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হয়েছে, তার কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বাংলা সাহিত্যচর্চায় নিরলস সাধনার জন্য এই পুরষ্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ব্রাত্য বলু বলেছেন, রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি। বাঙালিদের একটা অংশই এটা করতে পারে। অবাঙালিরা এটা করতেন না। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।
কেন মুখ্যমন্ত্রী এই পুরষ্কার পেলেন? বিষয়টির ব্যাখ্যা করে এদিন বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে নিরলস কাজ করার পরও যাঁরা সারস্বত সাধনা, সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের এই পুরস্কার অর্পণ করা হবে। সমস্ত শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক জানিয়েছেন প্রথম বছর এই পুরষ্কার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হোক।’