দিল্লিতে দলের কর্মসমিতির হাইপ্রোফাইল বৈঠক চলাকালীন ফের বঙ্গে ভাঙন বিজেপিতে। মেদিনীপুরের তফসিলি জাতি মোর্চার জেলা সহ সভাপতি রামচন্দ্র টুডু সহ একাধিক নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে। যদিও এই ভাঙনের জন্য তৃণমূলের 'ভীতি প্রদর্শন'কে দায়ী করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের ফলের পর থেকেই একে একে হেভিওয়েটরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন। মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তদের পথ অনুসরণ করে দল ছেড়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের দুইবারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও হয়ত তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়েছেন। এই আবহে জেলা স্তরেও বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বহু নেতাই নাকি তলে তলে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূলের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরে তফসিলি জাতি মোর্চার জেলা সহ সভাপতির দলবদল বেশ অস্বস্তি বাড়াল বিজেপির।
রবিবার রামচন্দ্র টুডু নারায়ণগড়ের বহু বিজেপি নেতা-কর্মীকে নিয়ে নাম লেখান তৃণমূলে। মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁর প্রায় ৪৫০ জন অনুগামী উপস্থিত ছিলেন ফুল বদল করতে। দলবদলের পর রামচন্দ্র টুডুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তবে এই দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি কামাল হোসেনের দাবি, কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলবদল করতে বাধ্য করছে তৃণমূল কংগ্রেস।