এবার শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই খুনের ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। রাস্তা থেকে ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলেও তারা তা সরাসরি অস্বীকার করেছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, মৃত এই কর্মীর নাম শম্ভু মাইতি ওরফে চন্দন। তিনি বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের যুব নেতা ছিলেন। রবিবার সকালে কেলেঘাই নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এটা পরিকল্পিত খুন। আর সেটা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। ভগবানপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে প্রথমে ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি গ্রাম্য বিবাদের জেরে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দলের এই কর্মীকে রাস্তা থেকেই তুলে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃীতিরা। তারাই পিটিয়ে মেরেছে তাঁকে। এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়েও কোপানো হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন। হঠাৎ তাঁর ফোন বেজে ওঠে। এমনকী কথা বলতেও শোনা যায়। ওই ফোনেই কেউ তাঁকে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। তখন সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। আজ সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মারধর করা হয় তাঁকে। রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি এই ইস্যুতে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, তখন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘গ্রাম্য বিবাদ থেকে খুন হয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। ভগবানপুর থানার পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।’ কিন্তু বিজেপি এই কথা মারতে নারাজ। তাঁরা ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছেন।