নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর ‘অরাজনৈতিক’ মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ভুতোর মোড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করলেন বিজেপি কর্মীরা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত ‘অরাজনৈতিক’ সেই ধর্মীয় মিছিল ছিল। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য সোনাচূড়া ও গোপালনগর থেকে বাস, গাড়ি, টোটোতে করে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। নন্দীগ্রামের ভুতোর মোড়ের কাছে বিজেপি সমর্থকদের বাস লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে শিশু, মহিলা-সহ একাধিক বিজেপি সমর্থক আহত হন। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের দাবি, ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত হয়েছেন। তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে আহতদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে রেয়াপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে। কয়েকজনকে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন শুভেন্দুও। নন্দীগ্রামের মিছিল শেষে তিনি বলেন, 'এখানে কয়েকটা লোক ধর্ম করতে এসেছিলেন। তাঁরা বিজেপি কী, তৃণমূল কী, সিপিআইএম কী, তৃণমূল, তা আমরা জানি না। তাঁরা ধর্ম করতে এসেছিলেন। এই আক্রমণ আমরা মেনে নেব না।' সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দুর্বল ভাবা উচিত হবে না।’
যদিও তৃণমূলের দাবি, হনুমান পুজো কে করবে, তা নিয়ে আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে দাবি করা হয়েছে।