এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমে পড়েছে নিজেদের প্রচার করতে। আর সেখান থেকেই বাক্যবাণ থেকে হুমকি আসছে জনগণের কানে। যত নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে তত উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনীতি। বোমা, গুলি থেকে শুরু করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এবার সামনে এল তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনা। আর তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গাইঘাটা। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে গাইঘাটায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা পশ্চিম ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি সুভাষ হালদারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইঘাটা জলেশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া পার্কে পিকনিক করছিলেন সুভাষ হালদার–সহ কয়েকজন। সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েই গিয়েছিলেন সুভাষ হালদার। আর সন্ধ্যা নামতেই শিব মন্দিরের পাশ থেকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সুভাষ হালদারের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, জলেশ্বর শিব মন্দির কমিটির সভাপতি সহদেব হালদার এখানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। তারাই এই হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাতে জলেশ্বর মন্দির এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। যা নিয়ে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আটক করে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। আর বিজেপি এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলছে, সবটাই মিথ্যা কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে বলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। মন্দিরের মাঠে একটি পিকনিক হচ্ছিল। সেই পিকনিকে তৃণমূলই–তৃণমূলকেই মেরেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup