পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। হাতে আর একমাসও সময় বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই। এখন এমন সময়ে দলবদলও করছেন নেতারা। যা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ বিজেপির শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গের জেলায় ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। এমন সময়ে বিজেপির এই নেতা দল ছাড়লেন যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করতেই সবার তৎপরতা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এমন ভাঙন নীচুতলায় বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু দল ছাড়া নয়, বিজেপি ছেড়ে ওই নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বিজেপির যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তথা দিনহাটা বিধানসভার বিজেপি যুব মোর্চার আহ্বায়ক অনিমেষ বর্মণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিলেন। রবিবার দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের হাত থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন তিনি। আর তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
ঠিক কী বলছেন বিজেপি নেতা? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে পা রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাজকর্ম নিয়ে সরব হন তিনি। অনিমেষ বর্মণের কথায়, ‘বিজেপি বলেছিল ‘অচ্ছে দিন’ আসবে। কিন্তু গ্যাসের দাম, তেলের দাম বাড়ছে। কোচবিহারে যাঁরা বিজেপি চালাচ্ছেন তাঁদের দ্বারা দল চালিত হতে পারে না। কোনও প্রকল্পই বাস্তবায়িত হয়নি। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।’ আর এই যোগদান নিয়ে উদয়ন গুগ বলেন, ‘অনিমেষকে দিয়ে বিজেপি এমন কাজ করিয়েছে যে, ও পুলিশের নজরে পড়ে গিয়েছে। আমরা চাই ওর গুণগুলিকে আমাদের সংগঠনের কাজে লাগাতে। ঠিক মতো চলতে পারলে ভবিষ্যতে পুরষ্কৃত হবে।’
ভাঙন নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া কী? বিজেপি এই ভাঙনকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। তবে নীচুতলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘দল থেকে যাঁদের নাম আমরা বাদ দিয়েছিলাম তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বড় বড় কথা বলছেন উদয়ন গুহ। আবারও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূলে যোগদান নিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।’