আবার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। আর তার জেরে ভেঙে পড়ল ঘরের দেওয়াল। এখানেও উঠে এল তৃণমূল কর্মীর নাম। একইসঙ্গে বাড়িতে বোমা মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এই বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এগরা, বজবজ, ইংরেজবাজার, দুবরাজপুর, ভাঙড়ের পর এবার নদিয়ার চাপড়া। যদিও চাপড়ার এই ঘটনায় পুলিশ বিস্ফোরণের তত্ত্ব নস্যাৎ করে দিয়েছে। অকুস্থলে রয়েছে চাপড়া থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবেই পরিচিত। এই তথ্যই জানান এলাকাবাসী। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উড়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট বাড়িটির ছাদও।
ঠিক কী ঘটেছে নদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, চাপড়ার হাতিশালা ১ নম্বর মহেশনগর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শেখ সাইফুল। তাঁর পরিবারের অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য। এই সাইফুল নিজেও শাসকদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বুধবার বেশি রাতে মহেশনগরের বাসিন্দা সাইফুল শেখের বাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটে। তার বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বোমা মজুত করা ছিল। যার জেরেই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। তার পরই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার পর সাইফুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। তবে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশকর্মীরা। নদিয়া জেলার চাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। তার আওয়াজ পেয়েছি আমরা। বাড়ি ছাদ উড়ে গিয়েছে। পুলিশ এসে দেখে চলে গেল। বাড়িতে বোমা মজুত ছিল বলেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বিকট শব্দ করে ভেঙে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাইফুল শেখের বাড়ির দেওয়াল। বাড়ির একাংশে বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে তল্লাশিতে কোনওরকম বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের ডিএসপি (ডিইবি) অমিতাভ কোণার বলেন, ‘বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাড়িটির একটি পরিত্যক্ত দেওয়াল ভেঙেই বিকট শব্দ হয়েছে। তবে সবটা খুঁজে দেখা হচ্ছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup