ভাঙড়ে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কালেরআইট এলাকায় গোয়াল–ঘরে মিলল বোমার হদিশ। আজ, রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আয়ুব মোল্লার বাড়ি লাগোয়া গোয়াল–ঘরের মধ্যে একটি ব্যাগের ভিতর বোমাগুলি দেখতে পান ওই পরিবারের পুত্রবধূ। তৎক্ষণাৎ ভাঙড় থানায় খবর দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকায়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ৭টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বোমা মজুত করছিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে এথন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে আইএসএফ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসই থানায় গিয়ে পুলিশে খবর দিয়েছেন এবং অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে আইএসএফের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খোলেননি শাসকদলের কেউ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে পুলিশ। কারণ কে এই রাতের অন্ধকারে গোয়াল–ঘরে তাজা বোমা লুকিয়ে রেখে গেল? তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে।
অন্যদিকে ভাঙড়ের কালেরআইটে সাতটি তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রবিবার চর্চা তুঙ্গে উঠেছে এলাকায়। আয়ুব মোল্লার গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তৃণমূল কর্মীকে কি খতম করতেই রাখা হয়েছিল তাজা বোমা? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছে পুলিশ। সকালে বাড়ির গৃহবধূ কাঠ আনতে যাওয়ার সময় ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয়। তখন তাতে উঁকি মারলে বোমা দেখতে পান তিনি। তারপরেই শ্বশুরমশাইকে খবর দেন। শ্বশুরমশাই বিষয়টি দেখে ভাঙড় থানাতে খবর দেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বোমা রেখে যাওয়ার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে অনেকে মনে করছেন। এমনকী এই ঘটনা শুনে অনেকে কেঁপে উঠেছেন। কারণ আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছুদিন আগে আরাবুল ইসলামের বাড়ির কাছেই মিলেছিল তাজা বোমা। সেগুলি কারা রেখেছিল? এখনও জানা যায়নি। তবে এবার খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ অফিসাররা বোমাগুলি উদ্ধার করেন। কে বা কারা এই বোমা এখানে রেখেছে? তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছেন ভাঙড় থানার পুলিশ কর্তারা। সকাল থেকেই এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকার চায়ের দোকান থেকে বাজারে।