‘প্রেমিক’ দেওরের সঙ্গে ‘প্রেমিকা’ বৌদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিলই। কিন্তু দাদার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যেতে রাজি হননি দেওর। তাতে অভিমানে আত্মঘাতী হলেন বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার জামলা এলাকায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আট বছর আগে পিংলায় মৌসুমীর সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীমন্তের। মৌসুমীর বাড়ি সবং থানার কাঁটাখালি গ্রামে। মৌসুমীর স্বামী শ্রীমন্ত রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ভাই নীলাদ্রি হাওড়ার বাগনানে থাকত। সেখানে জরির কাজ করত। মাঝে মধ্যে বাড়িতে যাওয়া আসা করত নীলাদ্রি। সম্প্রতি বড়দিন উপলক্ষে বাড়ি এসেছিল সে। ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রীমন্ত জানায়, সোমবার তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন। দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করার পরও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢোকেন তিনি। ঢুকে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন মৌসুমী।
এই দৃশ্য দেখার পরই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ প্রথমে মৌসুমীর স্বামী ও দেওর দুজনকেই জেরা করে। কিন্তু তখনও পর্যন্ত মৌসুমীর দেওরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। গ্রামবাসীরা প্রথম থেকেই বলে আসছিল, মৌসুমীকে খুন করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে এরপর সালিশি সভাও বসানো হয়। দুই ভাইকে নিয়ে সালিশি সভা বসে। গ্রামবাসীদের মতে, যেভাবে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল তাতে ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে না। খুনই হবে। সালিশি সভায় নীলাদ্রি তাঁর বউদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নেয়। তবে বউদিকে খুনের কথা অস্বীকার করেছে সে। নীলাদ্রি জানায়, বউদি সন্তানকে নিয়েই পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সে রাজি হয়নি। মঙ্গলবার পুলিশ নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করেছে।