ভোট-পরবর্তী হিংসায় প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। গত ১৪ মে নদিয়ার চাপড়ায় বিজেপি কর্মী ধর্ম মণ্ডলকে খুনের অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন - বিজয় ঘোষ এবং অসীমা ঘোষ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর শনিবার রাজ্যের কমপক্ষে ১৫ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দায়ের করা হয়েছে ১০ টি এফআইআর। তার ফলে এখনও ভোট-পরবর্তী হিংসায় আপাতত সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। তারইমধ্যে নদিয়ায় কিছুটা বাধা মুখে পড়ে সিবিআই। সকালে চাপড়া থানা এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হৃদয়পুর ধর্মের খুনের তদন্তে যান আধিকারিকরা। সকাল ৭ টা নাগাদ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের নৈশরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে অনেকে জড়ো হয়ে যান। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ওঠে বিজেপি-বিরোধী স্লোগানও। অভিযোগ, সিবিআইয়ের গাড়ির টায়ারের হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে চাপড়া থানার পুলিশ। পরে বিজেপির বুথ সভাপতির মা শোভারানি মণ্ডলের বাড়িতেও যায় সিবিআই। অভিযোগ, বিধানসভা ফল প্রকাশের পরদিন তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে শোভারানির মৃত্যু হয়েছিল।
দিনকয়েক আগে ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, হত্যা, ধর্ষণ এবং মহিলাদের উপর অপরাধের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। এছাড়া বাকি অভিযোগের তদন্ত করবে সৌমেন মিত্র, সুমন বালা, রণবীর কুমারকে নিয়ে গঠিত তিনজনের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সিটের তদন্ত আদালতের নজরদারিতে হবে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে। কতদিনের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে, তাও উল্লেখ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছ'সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সিটকে অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।