গরু পাচার মামলায় এবার আরও সক্রিয় সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনের বাড়িতে শুরু হয়েছে সিবিআই তল্লাশি। এবার অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবপত্র দেখাশোনা করতেন যিনি সেই মণীশ কোঠারির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআইয়ের তদন্তকারী টিম। বোলপুরের শ্রীনিকেতন রোডে মণীশ কোঠারির বাড়ি। একেবারে সাত সকালে সেখানে হাজির সিবিআই কর্তারা। ঘুম থেকে তুলে শুরু হয় তল্লাশি। শুধু মণীশের বাড়িতে নয়, তার অফিসেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, মণীশ কোঠারি মূলত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্ট। তিনি অনুব্রত যাবতীয় বেআইনী লেনদেনের খুঁটিনাটি জানেন বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ১৭ অগস্ট মণীশের বাড়িতে একবার তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এরপর এদিন ফের দফায় দফায় তল্লাশি। মণীশের বাড়ি থেকে নানা সন্দেহজনক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি তার বাড়ি থেকে টাকাও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এব্যাপারে একটা বাংলা সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
এদিন সকালেই কার্যত বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা ঘিরে ফেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বিভিন্ন পয়েন্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর শুরু হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক বাড়িতে তল্লাশি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলে তল্লাশি।
অন্যদিকে বোলপুরের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকেও দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই। তিনি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাকে বাড়ি থেকে গাড়িতে তুলে ফেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাকে আটক করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।