বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে স্ত্রী জড়িয়ে পড়েছে। এই কথা জানতে পেরে যান স্বামী। আর তার জেরে স্ত্রীর প্রেমিককে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন স্বামী বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনা ঘটিয়ে স্বামী এখন গ্রাম ছেড়ে পলাতক। পুলিশ তাঁকে ধরার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে। হুগলি জেলার চন্দননগর নাড়ুয়ায় এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বেশ কিছুদিন আগেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যান ওই মহিলার স্বামী। এবার তা সহ্য করতে না পেরে চরম পথ বেছে নিলেন মহিলার স্বামী।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূ্ত্রে খবর, নিহত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল (৪০)। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের নাম জগদীশ্বর সর্দার। চন্দননগরের নাড়ুয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বিশ্বজিৎ। তাঁকেই খুন করে পলাতক জগদীশ্বর। গোটা এলাকায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া গ্রামবাংলা জুড়ে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে। তাই কোথাও বেশিক্ষণ লুকিয়ে থাকতে পারবে না অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযুক্তের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিশ্বজিতের। কয়েকদিন আগে জগদীশ্বরের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। তা নিয়ে এলাকায় ঢি ঢি পড়ে যায়। তবে পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে পরে আবার তাঁরা দু’জনেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। তখনই একটা হিংসার পরিবেশ তৈরি হতে যাচ্ছিল। কিন্তু এলাকার মানুষজনের তৎপরতায় সেই হিংসা রূপ পায়নি। কিন্তু মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল। সেটাই এবার প্রকাশ্য রাস্তায় তুলে নিলেন ওই মহিলার স্বামী জগদীশ্বর সর্দার।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় শাহী দরবারে আনন্দ বোস, বৈঠক শেষে দেখা করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে
আর কী জানা যাচ্ছে? রবিবার মোটরভ্যান নিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন জগদীশ্বর সর্দার। ভদ্রেশ্বর সুভাষপল্লি থেকে উত্তরপাড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ পথে হঠাৎ তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় বন্ধু বিশ্বজিতের। অভিযোগ, সেই সময় ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে বিশ্বজিতের গলায় কোপ বসিয়ে দেন জগদীশ্বর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। রক্তে ভেসে যেতে দেখে অকুস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান জগদীশ্বর। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি বিশ্বজিতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। তারা দেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। যদিও তার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ অফিসাররা।