সবে গিয়েছে শিক্ষক দিবস। শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করেছে গোটা দেশ। এরই মধ্যে লজ্জার নজির গড়লেন কোচবিহারের ২ শিক্ষক। স্কুলের মধ্যে তাঁদের বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছল যে প্রধান শিক্ষককে ডাকতে হল পুলিশ। শুক্রবার চ্যাংরাবান্ধা হাইস্কুলের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২ শিক্ষক জাকির হোসেন ও সফিউল্লা যদিও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের আচরণের নিন্দা করেছেন অন্য শিক্ষক থেকে অভিভাবকরাও।
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন, স্কুলের মধ্যে শিক্ষকদের ২টি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল। এই নিয়ে আগেও ঝামেলা হয়েছে। শুক্রবার ২ গোষ্ঠীর ২ শিক্ষক জাকিক হোসেন ও সানাউল্লা নিজেদের মধ্যে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের নিরস্ত করার জন্য উদ্যোগী হন অন্যান্য শিক্ষকরা। সেখানে এসে পৌঁছন প্রধান শিক্ষক বাবুলাল সিং। কিন্তু কোনও ভাবেই ২ শিক্ষককে থামানো যায়নি। ওদিকে ২ শিক্ষকের এই আচরণে স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। এর পর বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষক থানায় খবর দেন। পুলিশ আধিকারিকরা এসে ২ শিক্ষককে নিরস্ত করেন।
ওদিকে স্কুলে স্যারেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গিয়েছে শুনে স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন অভিভাবকরা। ঘটনার চূড়ান্ত নিন্দা করেন তাঁরা। এর পর অভিযুক্ত শিক্ষকরা জানান, শিক্ষা বহির্ভূত একটি কারণে ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মতবিরোধের জেরে যারা শিক্ষক হয়েও নিজের স্কুলেই তাণ্ডব শুরু করে দেন তাঁরা এই পদের কতটা যোগ্য?