প্রচারে বেরিয়েছিলেন জয়নগরের তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। সেখানেই বাসিন্দাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। বাসিন্দাদের দাবি, প্রচন্ড গরমের মধ্য়ে এলাকায় জলের ভয়াবহ সংকট। একাধিক লাইট পোস্টে আলো থাকে না। এনিয়ে বাসিন্দারা প্রার্থীকে সামনে পেয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিকে বাসিন্দাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের রীতিমতো বচসা শুরু হয়ে যায়।
তৃণমূল নেতারা বলেন, সব কী একেবারে দেওয়া যাবে? ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। এদিকে স্থানীয় মহিলারাও ঘিরে ধরেন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।
তবে বাসিন্দারা সংবাদমাধ্য়মের ক্যামেরার সামনে বলেন, বিক্ষোভের কোনও বিষয় নয়। এতদিন বাদে সাংসদ এখানে এলেন। তাঁর কাছে আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। এই পাড়ায় একটা মাত্র মন্দিরের কাছে সরকারি লাইট রয়েছে। আর কোনও লাইট নেই। জলের সমস্যা রয়েছে। সেগুলি আমরা বলেছি। তিনি বললেন দেখব ব্যাপারটা। লাইট আর জল নেই। এটাই আমাদের সমস্যা।
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, আমাদের জল আর লাইটের খুব সমস্য়া। আমাদের এখানে কোনও কাজ হয়নি। এমপি বলল হবে।
এনিয়ে প্রতিমা মণ্ডল সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, পুকুরেও আর জল নেই। এটা তো পরিবেশের কারণে একটা উষ্ণায়নের কারণে এটা হয়েছে। জল চাইছে। পানীয় জলের জন্য যারা বলছেন, নির্বাচনী বিধি রয়েছে। আমরা তো এখনই ইনস্টল করে দিতে পারব না। তবে আগামী দিনে আমি নির্বাচিত হব। তারা দাবি দাওয়া নিয়ে আসব। আমরা নিশ্চয়ই তাদের মান্যতা দেব। পিএইচইর মাধ্যমে ট্যাঙ্কার করে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেব।
এদিকে প্রচারে বেরিয়ে এভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। প্রাথমিকভাবে শাঁখ বাজিয়ে, মালা পরিয়ে প্রতিমাকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই তাকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। একাধিক গ্রামবাসী বলা শুরু করেন, এতদিন বাদে সাংসদ এখানে এলেন। তাঁর কাছে আমাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। এই পাড়ায় একটা মাত্র মন্দিরের কাছে সরকারি লাইট রয়েছে। আর কোনও লাইট নেই। জলের সমস্যা রয়েছে। সেগুলি আমরা বলেছি। তিনি বললেন দেখব ব্যাপারটা। লাইট আর জল নেই। এটাই আমাদের সমস্যা।
তবে প্রতিমা মণ্ডল অবশ্য় উষ্ণায়নের কথা উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে পানীয় জল অন্য় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।