দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করল সিআইডি। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার সকাল ১১ টায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি শুভেন্দুর।
সূত্রের খবর, সিআইডির নোটিশে জানানো হয়েছে যে যেহেতু শুভেন্দুর দেহরক্ষী ছিলেন শুভব্রত, তাই তাঁর বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করা হয়েছে। শুভব্রত আত্মঘাতী হয়েছেন বলে যে দাবি করা হয়েচিল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য জানা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর মৃত্যু হয়েছিল মৃত্যু হয়েছিল শুভেন্দুর দীর্ঘদিনের দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। সেই ঘটনার প্রায় তিন নছর গত ৭ জুলাই কাঁথি থানায় এফআইআর দায়ের করেন শুভব্রতের স্ত্রী সুপর্ণা। তিনি দাবি করেন, ঘটনার দিন স্কুলে কাজ করার সময় একটি ফোন পান। জানতে পারেন, তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। চিকিৎসরা জানান, শুভব্রতর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হয়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যান শুভব্রত। যিনি শুভেন্দুর বাসভবন শান্তিকুঞ্জ সংলগ্ন একটা বাড়িতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতেন।
সুপর্ণার অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জুলাই এফআইআর দায়ের করা হয়। ১২ জুলাই তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। তারপর থেকে একাধিক কাঁথিতে গিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। শুভব্রত যেখানে থাকতেন, সেখানকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে সুপর্ণার বয়ান। যিনি ঘটনার প্রায় তিন বছর পর অভিযোগ দায়েরের প্রসঙ্গে দাবি করেন, শুভেন্দু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই প্রথমেই তিনি মুখ খুলতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় তিনি সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।