মগরাহাটে প্রকাশ্যে কুপিয়ে এবং গুলি করে জোড়া খুন করার অভিযোগ উঠল। সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তাঁর বন্ধুকে প্রথমে গুলি করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মগরাহাটের মাগুরপুকুরে গরুর হাটে দুই যুবককে এভাবেই খুন করল দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। আর এই জোড়া খুনকে কেন্দ্র করে শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে বলে অভিযোগ? স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে এখানে গরুর হাট বসেছিল। গরু কেনাবেচা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে। এখানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। গণ্ডগোল চরমে উঠলে এক যুবক ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার তা থামাতে যায়। তখনই তাঁদের ধরে একটি দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় এবং গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান আমজনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে মগরাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় গ্রামের প্রচুর মানুষ গরুর হাটকে ঘিরে ফেলে। এমনকী একটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। এসডিপিও সহ বিশাল পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এখানে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকে খুন করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামানো হয়েছে। ডায়মণ্ড হারবারের এসডিপিও মিতুনকুমার দে’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরনের নৃশংস খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এই জোড়া খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।