নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে এবার সামনে এল কলেজে ভর্তি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ। আর তাতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির। কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজে প্রভাব খাটিয়ে কারচুপির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে সুপ্রকাশের। উল্লেখ্য, কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে চিরকুট পাঠিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো কলেজে পড়ুয়া ভর্তি করিয়েছেন সুপ্রকাশ গিরি। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতি ছাত্রের ভর্তি বাবদ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষা দফতরে সুপ্রকাশ গিরির নামে অভিযোগ জমা পড়েছে।
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে এমনিতেই বিতর্কে জড়িয়েছেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা স্বাধীন কারা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। আর এরই মাঝে এবার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে অখিল গিরি। প্রসঙ্গত, দলীয় সংগঠন ও প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন সুপ্রকাশ গিরি। তিনি যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।
এই আবহে মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে কলেজ ভর্তিতে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে শাসকলদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে ঘাসফুল শিবির এবং গিরি পরিবারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিও। যদিও গোটা ঘটনায় পাল্টা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছেন সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বহু অভিযোগ আসছে যে কেউ ছাত্র ভর্তির নামে টাকা তুলেছে। আমি প্রিন্সিপালকে এই সংক্রান্ত তালিকা দিতে বলেছি।’ যদিও প্রভাতকুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে বলেন, উনি চাইলে কলেজে এসে তালিকা নিতে পারতেন।